নিজে যৌন হয়রানির শিকার হলে
শুরুতেই জানিয়ে দিন, আপনি নিরীহ নন। তার কোন আচরণ পছন্দ না হলে চোখে চোখ রেখে শক্তভাবে বলে দিন সে যেন সীমা অতিক্রম না করে।
নিপীড়ক যেই হোক, চুপ করে থাকবেন না। প্রয়োজনে মামলা করুন। লোকলজ্জা চুলোয় যাক।
চেষ্টা করুন প্রমাণ রাখতে। মোবাইলে বদমাশটির ভয়েস রেকর্ড করুন, টেক্সটগুলো রেখে দিন।
আপনার ক্ষেত্রে উল্টো স্ট্রাটেজি, আপনার চেপে যাওয়াটাই ওর অস্ত্র। নির্যাতিত হলে লুকাবেন না, অফিশিয়াল অভিযোগ করুন, মামলা করুন।
সমাজকে ভেঙেচুরে গড়ার কাজটা আপনারই হাতে। আপনার সন্তান যৌন হয়রানির শিকার হয়ে ভিকটিম হলে উচ্চকণ্ঠে প্রতিবাদ করুন, আপনার সন্তানের পাশে দাঁড়ান।
বেনিফিট অফ ডাউট দেয়া বন্ধ করুন। শুরুতেই চিহ্নিত করুন যে আপনি যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ ধরনের হিন্ট পাওয়া মাত্র সরাসরি বলুন যে, আপনি এটি পছন্দ করেন না।
অফিসে যৌন হয়রানির শিকার হলে যত সিনিয়র অফিসারই হোক, ভয় পাবেন না। চোখে চোখ রেখে ঠান্ডা মাথায় আপনার আপত্তি জানান। বেশিরভাগ সময় দ্বিতীয়বার এই কাজ করবে না।
আমার চাকরি চলে যাবে, প্লিজ মাফ করে দাও এবারের মতো’- এসব কথায় গলে যাবেন না। আপনি ছেড়ে দেয়া মাত্র সে আপনার নামে কুকথা ছড়াবে।
আশপাশের মানুষের কথায় পাত্তা দেবেন না। এরা আপনার মাস শেষে বিলটা দিয়ে দেয় না, এদের কথায় আপনার কিছু যায় আসে না।
আর কারো সাথে হয় না, আপনার সাথেই হয় কেন’ এ ধরনের কথা কানে নেবেন না। সবার সাথেই হয়, কেউ মেনে নেয় চুপচাপ কেউ বীরের মত প্রতিবাদ করে।