ব-ফলা, ম-ফলা ও য-ফলার উচ্চারণসূত্র এবং গদ্য ও কবিতা থেকে বাছাইকৃত ফলাযুক্ত শব্দের উচ্চারণ

সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র অ্যাসাইনমেন্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের নতুন একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই এসএমএসটি তৃতীয় সপ্তাহের জন্য প্রকাশ করেছেন আমরা এখন আলোচনা। এই মুহূর্তে আমরা আলোচনা করব দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান।

দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের ইতিমধ্যেই প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট সমাপ্ত হয়েছে প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে বাংলা প্রথম পত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল কিন্তু বাংলা দ্বিতীয়পত্র এটি প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট।

আজকের আলোচনার বিষয় হলো ব ফলা ম ফলা ও য ফলার উচ্চারণ সূত্র এবং গদ্য কবিতা থেকে বাছাইকৃত ফলা যুক্ত শব্দের উচ্চারণ।

দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ২য় পত্র এসাইনমেন্ট কাজ: ব-ফলা, ম-ফলা ও য-ফলার উচ্চারণসূত্র এবং গদ্য ও কবিতা থেকে বাছাইকৃত ফলাযুক্ত শব্দের উচ্চারণ

ম-ফলা, ব-ফলা ও য-ফলার উচ্চারণ:

ম-ফলার উচ্চারণ:

ক. পদের প্রথমে ম—ফলা থাকলে সে বর্ণের উচ্চারণে কিছুটা ঝোঁক পড়ে এবং সামান্য নাসিক্য স্বরহয়। যেমন: শ্মশান (শঁশান্), স্মরণ (শঁরোন্)।

কখনো কখনো ‘ম’ অনুচ্চারিত থাকতেও পারে। যেমন: স্মৃতি (সৃতি বা সৃঁতি)।

খ. পদের মধ্যে বা শেষে ম-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে সে বর্ণের দ্বিত্ব হয় এবং সামান্য নাসিক্যস্বর হয়। যেমন: আত্মীয় (আতিতঁয়ো), পদ্ম (পদেদাঁ), বিস্ময় (বিশ্শঁয়), ভস্মস্বূপ (ভশেশাঁস্তুপ), ভস্ম (ভশেশাঁ), রশ্মি (রোশিশঁ)।

গ. গ, ঙ, ট, ণ, ন বা ল বর্ণের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে, ম-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যুক্ত ব্যঞ্জনের প্রথমে বর্ণের স্বর লুপ্ত হয়। যেমন: বাগ্মী (বাগিম), মৃন্ময় (মৃন্ময়), জন্ম (জনেমা), গুল্ম (গুলেমা)।

ব-ফলার উচ্চারণ:

ক. শব্দের প্রথমে ব-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে শুধু সে বর্ণের ওপর অতিরিক্ত ঝোঁক পড়ে। যেমন: ক্বচিৎ (কোচিৎ), দ্বিত্ব (দিতেতা), শ্বাস (শাশ্) স্বজন (শজোন), দ্বন্দ্ব (দনেদা)।

খ. শব্দের মধ্যে বা শেষে ব-ফলা যুক্ত হলে যুক্ত ব্যঞ্জনটির দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন: বিশ্বাস (বিশ্শাশ্), পক্ব (পকেকা), অশ্ব (অশেশা), বিল্ব (বিলেলা)।

গ. সন্ধিজাত শব্দে যুক্ত ব-ফলায় ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন: দিগ্বিজয় (দিগিবজয়), দিগ্বলয় (দিগ্বলয়)।

ঘ. শব্দের মধ্যে বা শেষে ‘ব’ বা ‘ম’-এর সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন: তিব্বত (তিব্বত), লম্ব (লমেবা)।

ঙ. উৎ উপসর্গের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বহাল থাকে। যেমন: উদ্বাস্তু (উদ্বাস্তু), উদ্বেল (উদেবল্)।

য-ফলার উচ্চারণ:

ক. য-ফলার পর ব্যঞ্জনধ্বনি বা অ, আ, ও ধ্বনি থাকলে য-ফলা ‘অ্যা’ উচ্চারিত হয়। যেমন— ব্যবহার (ব্যাবোহার্‌), ব্যস্ত (ব্যাস্‌তো) ইত্যাদি

খ. য-ফলার পরে ‘ই’ ধ্বনি থাকলে য-ফলা ‘এ’ উচ্চারিত হয়। যেমন— ব্যক্তি (বেক্‌তি), ব্যতীত (বেতিতো) ইত্যাদি।

গ. য-ফলা শব্দের মাঝে বা শেষে থাকলে ‘দ্বিত্ব’ উচ্চারিত হয়। যেমন— বিদ্যুৎ (বিদ্‌দুত্‌), বিদ্যা (বিদ্‌দা) ইত্যাদি।

ঘ. শব্দের প্রথমে য-ফলার সাথে উ-কার, ঊ-কার, ও-কার থাকলে য-ফলার উচ্চারণ হয় না। যেমন— দ্যুতি (দুতি), জ্যোতি (জোতি) ইত্যাদি।

ঙ. ‘হ’-এর পর য-ফলা থাকলে হ+য-ফলা ‘জ্‌ঝ’ উচ্চারিত হয়। যেমন— সহ্য (শোজ্‌ঝো), গ্রাহ্য (গ্রাজ্‌ঝো) ইত্যাদি।

চ. উদ্যোগ শব্দটির উচ্চারণ বাংলায় দুটি পাওয়া যায়— উদ্‌দোগ ও উদ্‌জোগ। তবে জনমনে বেশি প্রচলিত উদ্‌দোগ। অনেকের মতে উদ্যোগকে যদি সংস্কৃত ভেঙে উদ্‌যোগ রূপে লেখা হয়—তবে এর উচ্চারণ উদ্‌জোগ হবে।

ছ. য বা য-ফলার আদি বা সংস্কৃত উচ্চারণ ‘ইঅ (ইয়)’। যেমন— যামিনী (ইয়ামিনি), শ্যাম (শিয়াম) ইত্যাদি।

সবশেষে এইটুকু বলতে চাচ্ছি যে এইচএসসি অ্যাসাইনমেন্ট এর কাজগুলো প্রতি সপ্তাহেই পরিচালিত হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতি সপ্তাহের উত্তরগুলি আপনাদের মাঝে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে।

আমরা মনে করি যে আপনি খুব সফল ভাবে এসএসসি পরীক্ষার তৃতীয় সপ্তাহের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের অ্যাসাইনমেন্টের কাজটি সম্পন্ন করেছে আপনি যদি তৃতীয় সপ্তাহের অন্য বিষয় গুলোর অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অ্যাসাইনমেন্ট ক্যাটাগরিতে ভিজিট করুন আশা করি সেখান থেকে আপনার সকল বিষয়ের উত্তর পেয়ে যাবেন।

বিশেষ করে তৃতীয় সপ্তাহের এইচএসসি ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান করা হয়েছে ইংরেজি বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের সম্পন্ন উত্তর কিছুক্ষনের ভিতরেই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।