নিজের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অথবা কারো কাছ থেকে শোনা একটি ভ্রমণ কাহিনীর বর্ণনা দিয়ে ১৫০ শব্দের মধ্যে একটি নিবন্ধন রচনা কর

প্রিয় শিক্ষার্থীরা আজকে আমাদের এই মুহূর্তে আলোচনার বিষয় হচ্ছে ষষ্ঠ শ্রেণির নবম সপ্তাহের বাংলা বিষয়ের এসাইনমেন্ট সমাধান। এই সপ্তাহে সিমেন্টের বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে নিজের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অথবা কারো কাছ থেকে শোনা একটি ভ্রমণ কাহিনীর বর্ণনা দিয়ে 150 শব্দের মধ্যে একটি নিবন্ধ রচনা করতে হবে।

তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের নিবন্ধন রচনাটি যেটি 150 শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। আমরা অতিরিক্ত লিখে লিখে শিক্ষকদের মনক রাগান্বিত করে তুলবো না। 150 শব্দের ভিতর যদি আমরা রচনাটি সম্পন্ন করতে পারি তাহলে আশা করা যায় সম্পূর্ণ নম্বর পাবো।

আজকের সম্পূর্ণ ঘটনাটি আমার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বর্ণনা করা হবে।

নিজের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অথবা কারো কাছ থেকে শোনা একটি ভ্রমণ কাহিনীর বর্ণনা দিয়ে ১৫০ শব্দের মধ্যে একটি নিবন্ধন রচনা কর

একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে:

“বিশ্বভুবন মনমোহন বলে কাছে আয় চারদেয়ালের গণ্ডি ছেড়ে তাই তো ছুটে যায়”। অনেক অনেক দূরে ভ্রমণে যেতে আমাদের সকল এরশাদ কিন্তু নানা কারণে দূরের ভ্রমণ সম্ভব হয়ে ওঠেনা ভ্রমণ মানেই অচেনাকে চেনা অজানাকে জানা।

সূচনা:

আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব কেউ দূরে থাকলে তার বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া প্রমাণ হলে ভ্রমণ মানুষের সদর বিলাসীর জিনিস। সবাই ভালবাসে ওর বর্মন পেরিয়ে মৌলি হিমালয় জয় করে কৃষ্ণবর্ণ অরণ্যে মশাল জ্বেলে পথ খুঁজে আজীবন বেড়াতে।

কিন্তু ছোটবেলা থেকেও যে সামান্য পথ ধরেছে তাতে ভ্রমণের সাধ মেটেনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই বহুল বিখ্যাত কবিতাটি বারবার আবৃত্তি করছি।

“ইচ্ছে সম্মানে কিন্তু পাঠিও না পায় শিখলি মন উড়ু উড়ু একই দৌড়ের শাস্তি”।

আমাদের ভ্রমণের যাত্রা শুরু:

যথারীতি 2020 সালের অক্টোবর মাসে আমরা সকলে একত্রে আমাদের স্কুল প্রাঙ্গনে মিলিত হই এবং সকাল সাড়ে 6 টায় আমাদের বাস রওনা দিল আমাদের অভিভাবকদের মুখগুলো দেখে খুবই কষ্ট হচ্ছিল। যেন ছেলেমেয়েরা অনেক দিনের জন্য অনেক দূরে চলে যাচ্ছে

যাই হোক আমরা অনেক দিনের জমানো আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

রীতিমতো বাসে ভোরের মুক্ত আলোয় আমাদের মুখে পড়ছে নতুন কিছু উদ্ভাবন এক জাগ্রত আশা। আশার ঘর বাঁধতে বাঁধতে গল্পগুজব হাসি শিক্ষকদের সাথে গান আনন্দ ছিল সকলের মাঝেই।

এভাবেই প্রায় বাস চলতে শুরু করলো চলতেই থাকল চলতেই থাকল প্রায় সাত থেকে আট ঘণ্টা চলার পরে আমরা চট্টগ্রাম পৌছালাম।

এখানে একটি হোটেলে প্রায় এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আমরা আমাদের দুপুরের খাবার সেরে নিলাম।

আবার বাস চলা শুরু করলো এবার তিন থেকে চার ঘণ্টা চলার পর আমরা কক্সবাজার এসে পৌছালাম।

অতঃপর কক্সবাজার:

“কি করি আজ ভেবে না পাই পথ হারিয়ে কোন বনে যাই”। সকলেই যখন কক্সবাজার এসে পৌঁছলাম তখনই আমাদের মনে এক নতুন আনন্দের পাশা জাগ্রত হল।

আমরা জীবনের প্রথম সমুদ্রের দেখা পেলাম এবং সকলের মনে আনন্দ জেগে উঠলো অবশেষে আমরা কক্সবাজার এসে পৌছালাম।

আমরা সকলে অবগত আছি যে কক্সবাজার হচ্ছে সারা বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য ভিতরে একটি যেখানে শুধু বাংলাদেশ থেকে নয় সারা বিশ্ব থেকে ভ্রমণের জন্য অনেক অতিথিরা আসেন।

এ আন্তর্জাতিক মানের জায়গায় ভ্রমণ করতে পেরে আমরা সকলেই খুব আনন্দিত হয়েছিলাম।

ফেরার পালা:

প্রায় দুই দিনের ভ্রমণ শেষে আমরা যখন বাড়ি ফিরছিলাম ঠিক তখনই সকলের মনে একটু দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছিল।

আমরা এখানকার খাবার ঐতিহ্য ও শপিং গুলো এবং সমুদ্রের পাড়ে ঘুরাঘুরির অভিজ্ঞতাগুলো আস্তে আস্তে মিস করতে শুরু করলাম।

সমুদ্রের ঢেউ কলকল ধ্বনি সবকিছুই আমাদের মনের ভিতর বাঁধতে শুরু করলো। অবশেষে আমরা পরদিন সকাল ভোরে আমাদের বাসায় এসে পৌঁছলাম।

আমাদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা কথাগুলো পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ার করলাম এবং সকলকে ধর্মের আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো বর্ণনা করতে লাগলাম।

এটি ছিল আমার জীবনের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।