সেই নির্বাচনে কত ভোটের ব্যবধানে শেখ মুজিব জয়ী হয়েছিলেন? আজকের কুইজ এর উত্তর

আজকের কুইজ এর প্রশ্ন ও উত্তর ইতিমধ্যেই আমাদের ওয়েবসাইট প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম পুরুস্কার ১টি ল্যাপটপ ও ২য় পুরুস্কার ৫টি স্মার্ট ফোন ও ৩য় পুরুস্কার ১০০ জিবি মোবাইল ডাটা জিততে হলে এখনই সঠিক উত্তরটি প্রদান করুন।

শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী সংকলন অসমাপ্ত আত্মজীবনী । ২০১২ সালের জুনে এ বইটি প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ইংরেজি, উর্দু, জাপানি, চিনা, আরবি, ফরাসি, হিন্দি, তুর্কি, নেপালি, স্পেনীয়, অসমীয়া ও রুশ ভাষায় বইটির অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

আজকের কুইজ এর প্রশ্ন:

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তৎকালীন গোপালগঞ্জ-কোটালিপাড়া আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি মুসলিম লীগের প্রভাবশালী প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামানকে পরাজিত করেন। যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল নৌকা। সেই নির্বাচনে কত ভোটের ব্যবধানে শেখ মুজিব জয়ী হয়েছিলেন?

আজকের কুইজ এর উত্তর:

১০ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন।

২১ দফার ভিত্তিতে যুক্তফ্রন্ট ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল নৌকা এবং মুসলিম লীগের প্রতীক ছিল হারিকেন।

১৯৫৪ সালের ৭-১২ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মোট আসন ছিল ৩০৯টি। তার মধ্যে ৭২টি হিন্দু ও তফসিলি। ২৩৭টি মুসলমান আসন। ৯টি বাদে সব আসনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করে।

পূর্ব বাংলায় ভোটের বিপ্লব হলো। জাতীয়তাবাদের জয় হলো। ১৯৫৪ সালের ২ এপ্রিল সরকারিভাবে ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়।

শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ আসন থেকে মুসলিম লীগ প্রার্থী ওহিদুজ্জামান ঠাণ্ডা মিয়াকে পরাজিত করে প্রাদেশিক আইনসভার এমএলএ নির্বাচিত হন। গোপালগঞ্জ নির্বাচন সম্পর্কে শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে দেখা গেল ওহিদুজ্জামান সাহেব প্রায় ১০ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন। জনসাধারণ আমাকে শুধু ভোটই দেয়নি, প্রায় ৫ হাজার টাকা নজরানা হিসেবে দিয়েছিল নির্বাচন খরচ চালানোর জন্য। আমার ধারণা হয়েছিল, মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে। যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন, তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবন দিতেও পারে।’

গতকাল এর কুইজ এর প্রশ্ন:

ঢাকার মুকুল হলে (আজাদ প্রেক্ষাগৃহ) পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের এক কাউন্সিলের আয়োজন করা হয় । এ কাউন্সিলেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। কোন সালে প্রথমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি?

গতকাল এর কুইজ এর উত্তর:

শেখ মুজিবুর রহমান অসমাপ্ত আত্মজীবনী

বইটিতে আত্মজীবনী লেখার প্রেক্ষাপট, লেখকের বংশ পরিচয়, জন্ম, শৈশব, স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্ভিক্ষ, বিহার ও কলকাতার দাঙ্গা, দেশভাগ, কলকাতাকেন্দ্রিক প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি, দেশ বিভাগের পরবর্তী সময় থেকে ১৯৫৪ সাল অবধি পূর্ব বাংলার রাজনীতি, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সরকারের অপশাসন, ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন, আদমজীর দাঙ্গা, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের বিস্তৃত বিবরণ এবং এসব বিষয়ে লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে।

আছে লেখকের কারাজীবন, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সর্বোপরি সর্বংসহা সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেসার কথা, যিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সহায়ক শক্তি হিসেবে সকল দুঃসময়ে অবিচল পাশে ছিলেন। একইসঙ্গে লেখকের চীন, ভারত ও পশ্চিম পাকিস্তান ভ্রমণের বর্ণনাও বইটিকে বিশেষ মাত্রা দিয়েছে।

অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল।

জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি প্রকাশ হওয়ার পর দেশ ও জাতি ইতিহাস বিকৃতির হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পেয়েছে।’ তিনি আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের ব্রেইল সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। সরকারি বাসভবন গণভবনে তিনি এ মোড়ক উন্মোচন করেন।