বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর রাজস্ব খাতভূক্ত সহকারী সচিব/সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদের প্রশ্ন সমাধান প্রকাশিত

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড http://www.reb.gov.bd/ সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদের জন্য এমসিকিউ,রচনামূলক লিখিত ও মৌখিক এই ৩ ধাপে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দ্রুত ও স্বচ্ছ নিয়োগপদ্ধতি এবং কর্মস্থল ঢাকা হওয়ায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পদগুলোর প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বেশি আগ্রহ ও প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়।

আরইবির নিয়োগ ও পরীক্ষাসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এমসিকিউ ও রচনামূলক পরীক্ষার মানবণ্টন ও সিলেবাস সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তবে আলাদা দিনে এমসিকিউ ও রচনামূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানের বিগত নিয়োগ প্রশ্নগুলোর ফরম্যাটই অনুসৃত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

পল্লী বিদ্যুৎ পরীক্ষার নোটিশ:

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডর সহকারী পরিচালক/সহকারী সচিব পদের নিয়োগ পরীক্ষা ২০ জানুয়ারি ২০২৩

পরীক্ষার সময়ঃ বিকাল ৩.০০-.৪.০০ টা

পরীক্ষার্থীঃ ৬২ হাজার প্রায়।

এক পদের জন্য লড়াই করবে ৪১৩৪ জন।

মূলত পদটি অনেক লোভনীয় হওয়ায় প্রশ্ন ফাঁস রোধে কর্তৃপক্ষ নিজেরাই পরীক্ষা পরিচালনা করেন । প্রিলি পরীক্ষার ১ দিন পরেই লিখিত পরীক্ষা । অর্থাৎ পরদিন (২১-০১-২৩ তারিখ) ২.৩০-৪.৩০ পর্যন্ত কুর্মিটোলা হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

যদি নিজেরা এক্সাম নেয় তাহলে ৭০ /৮০ নম্বরেরএ হবে। বিগত বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন রিপিট হয়। তাই ২-৩ টার বেশি ভুল হলে প্রিলিতে ফেইল ।অর্থাৎ ৭০ নম্বরের পরীক্ষা হলে ৬৮- ৬৭ পেতেই হবে। বিসিএস প্রিলি টাইপ প্রশ্ন হবে(বাংলা, ম্যাথ, ইংরেজি, জিকে)। ২০২২ জব সলুউশন আর ১০-৪৪ প্রিলি প্রশ্ন এনাফ। সুতরাং দাগানোর সময় সতর্ক হয়ে দাগাতে হবে। যাতে জানা বিষয় ভুল না হয় অর্থাৎ পারফেক্ট পরীক্ষা দিতে হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষা প্রশ্ন

২০১৭ সালের পরীক্ষায় দেখা যায়, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদে আলাদা দিনে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ১০০ নম্বরের রচনামূলক প্রশ্ন করা হয়েছিল। ১০০ নম্বরের ৮০টি এমসিকিউ (প্রতিটির মান ১.২০) প্রশ্নের মধ্যে বাংলা-১৫, ইংরেজি-১৫, গণিত-১০, সাধারণ জ্ঞান (বিজ্ঞান ও কম্পিউটারসহ)-৪০টি করে প্রশ্ন ছিল। আগের মতো এবারও ১০০ বা ৫০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।

এমসিকিউ প্রস্তুতির জন্য বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতিবিষয়ক বইগুলো সহায়ক হিসেবে রাখতে পারেন। তবে বাংলা ও ইংরেজি অংশে সাহিত্যের চেয়ে ব্যাকরণের উপর অধিকতর জোর দিতে হবে।

আর সাধারণ জ্ঞানের বাংলাদেশ বিষয়াবলি অংশে বাংলার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু, বিদ্যুৎ খাত ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডসম্পর্কিত তথ্যগুলো ভালো করে চোখ বুলিয়ে নেবেন।

বিসিএসের চূড়ান্ত রেজাল্টে এমসিকিউ নম্বর যোগ না হলেও, অনেক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষায় এমসিকিউ নম্বর যোগ করে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা হয়, তাই এমসিকিউ অংশ গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।

লিখিত পরীক্ষা প্রশ্ন

২০১৭ সালে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদে ১০০ নম্বরের রচনামূলক পরীক্ষায়; ভাবসম্প্রসারণ-০৫, ব্যাখ্যা-০৫, এককথায় প্রকাশ ও বাগ্​ধারা-০৫, ক্রিটিক্যাল রিজনিং-০৫, এমপ্লিফিকেশন-০৫, ট্রান্সলেশন ও রিট্রান্সলেশন-২০, ফোকাস রাইটিং-২৫, গণিত-১০, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-১০, টিকা-১০ নম্বরের উত্তর লিখতে হয়েছিল।

এবারও রচনামূলক পরীক্ষায় ১০০ বা ৭০ নম্বরের প্রশ্ন করা হতে পারে। রচনামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিসিএস লিখিত প্রস্তুতিবিষয়ক বইগুলো দেখতে পারেন।
পাশাপাশি ফোকাস রাইটিং অংশের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও সফলতা, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অবশ্যই পড়ে যাবেন।

যেকোনো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ওপর মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া অনেকাংশে নির্ভর করে, তাই লিখিত পরীক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

মৌখিক পরীক্ষা প্রশ্ন

ব্যাংক ও বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানগুলোতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১৫-২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। এখানে সাধারণত একাডেমিক সার্টিফিকেটের ওপর একটি নির্দিষ্ট নম্বর প্রদান করা হয়।

মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর একাডেমিক ও সাধারণ জ্ঞান, আচরণ ও ব্যক্তিত্ব, উপস্থিত বুদ্ধি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা প্রভৃতি সচেতনভাবে লক্ষ করা হয়।

তবে কোনো প্রার্থী এমসিকিউ ও রচনামূলক পরীক্ষায় ভালো নম্বর তুলতে পারলে মৌখিক পরীক্ষা মোকাবিলা করে চূড়ান্ত ফলাফলে নিজের নাম দেখতে পারা তেমন কঠিন কিছু নয়।