যে নার্সারিতে পলিব্যাগে চারা উৎপাদন করা হয় তাকে পলিব্যাগ নার্সারি বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের ফল ও বনজ গাছের চারা উৎপাদনের জন্য সরাসরি বীজ অথবা অঙ্কুরিত বীজ পলিব্যাগে বপন করা যায়।
পলিব্যাগ নার্সারিতে চারা উৎপাদনের অনেক সুবিধা থাকায় বেশিরভাগ ফলজ ও বনজ চারাই পলিব্যাগে উৎপাদন করা হয়। পলিব্যাগ
নার্সারিতে চারা উৎপাদন করার প্রধান সুবিধাগুলো হলোঃ
১। যে কোন মাপের এবং ঘনত্বের তৈরি করা যায়।
২। মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী।
৩। হালকা ও সহজে পরিবহনযোগ্য।
৪। পলিব্যাগে উৎপাদিত চারার পরিচর্যা করা সহজ এবং চারা মৃত্যুহার কম।
৫। পলিব্যাগের চারা পরিবহন করা সহজ এবং পরিবহনে চারার কোন ক্ষতি হয় না।
৬। পলিব্যাগের চারা রোপণ করা সহজ ও মৃত্যুহার কম।
![](https://i0.wp.com/bdexamhelp.com/wp-content/uploads/2020/12/poli-bag.jpg?resize=538%2C275&quality=95&strip=all&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bdexamhelp.com/wp-content/uploads/2020/12/polibag-2.jpg?resize=561%2C290&quality=95&strip=all&ssl=1)
চারা উৎপাদন
এটি চারা উৎপাদনের একটি বিজ্ঞান সম্মত প্রদ্ধতি। পূর্বে শুধুমাত্র বেডে চারা উৎপাদন করা হতো এবং সেসব চারা মাটির বলসহ বা উপড়ে তুলে নিয়ে লাগানোর জন্য নেয়া হতো। এভাবে চারা তোলার ফলে চারার শিকড় ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং পরবর্তীতে রোপিত চারা অনেক ক্ষেত্রে মারা যায়।
কারন, শিকড় গাছের জীবন-কেননা তা শুধু গাছকে মাটিতে ধরে রাখে না শিকড় মাটি থেকে গাছের জন্য প্রয়োজনীয় পানীয় ও খাদ্য উপাদান গ্রহন করে। কিছু মূল্যবান চারা অবশ্য বাঁশের চাঁচি বা মাটির টবে তোলা হতো।
এ দু’টোই বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। বর্তমানে বীজতলায় সরাসরি চারা উৎপাদনের চেয়ে নার্সারীতে পলিব্যাগে উত্তোলনই বেশি জনপ্রিয়। পেঁপে, পেয়ারা ও বনজ উদ্ভিদের বীজ থেকে চারা তৈরির জন্য কাল পলিব্যাগ ব্যবহার করা ভাল।
নার্সারির যে অংশে পলিব্যাগ রাখা হবে সে জায়গাটি ভালোভাবে দুরমুজ করে সমান করে নিতে হবে। তারপর নার্সারির যেকোন এক পাশ হতে পলিব্যাগ স্থাপন শুরু করতে হবে। ব্যাগগুলো সোজাভাবে একটি আরেকটির সাথে আটঁসাটঁ করে রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই যেন পলিব্যাগ বাঁকা বা কাত করে সাজানো না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।