মানুষ হয় জ্ঞানী ও বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণী যার পাখা নাই- সংজ্ঞাটির সঠিকতা যাচাই কর

২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্যঃ-

যুক্তিবিদ্যা দ্বিতীয় পত্র-১২২ (৩য় সপ্তাহ,অ্যাসাইনমেন্ট নং-২)

অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়ঃ

মানুষ হয় জ্ঞানী ও বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণী যার পাখা নাই- সংজ্ঞাটির সঠিকতা যাচাই কর।

যেসকল সংকেত/ধাপ/পরিধি/পয়েন্ট এর উপর আলোচনা করতে হবেঃ

* ভূমিকাঃ কি আলোচনা করতে চাও/কি বিষয়ের ওপর তোমার অ্যাসাইনমেন্ট সেটা লিখবে।

* যৌক্তিক সংজ্ঞাঃ

> যৌক্তিক সংজ্ঞার সংজ্ঞা/বলতে কি বোঝ উদাহরণসহ বিস্তারিত আলোচনা করবে।

> যৌক্তিক সংজ্ঞার নিয়মাবলি লিখবে ও উদাহরণ দিবে।

> যৌক্তিক সংজ্ঞার নিয়ম লংঘনজনিত অনুপপত্তি গুলো বিস্তারিত লিখবে।

অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।

ক) অ্যাসাইনমেন্টে প্রদত্ত সংজ্ঞাটিতে সংজ্ঞার কোন কোন নিয়ম লংঘন করা হয়েছে তা সংক্ষেপে আলোচনা করবে।

খ) নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে কী কী/ কোন কোন অনুপপত্তি সৃষ্টি হয়েছে তা ব্যাখ্যা করবে।

গ) “মানুষ” পদের সঠিক সংজ্ঞায়ন/সংজ্ঞা দানের প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করবে।

ঘ) সংজ্ঞার নিয়ম অনুসারে যেকোন একটি (পাখি/পশু/লেখক) ধারণার সংজ্ঞা দিবে ও যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করবে।

* উপসংহার লিখবে। যা আলোচনা করলে তার মূল কথাগুলো লিখবে।

* সহায়ক গ্রন্থাবলীর নাম লিখতে পার।

প্রতি পৃষ্ঠার বাম পাশে ২ ইঞ্চি ও বাকি তিন পাশে ১ ইঞ্চি মার্জিন রাখবে। ​সাধারণত এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট লেখা হয়ে থাকে। সব আলোচনা যুক্তিবিদ্যা বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের যুক্তিবিদ্যা পরিচিতি অংশে পাবে। যুক্তিবিদ্যার বই আমাদের কলেজ লাইব্রেরী থেকে সংগ্রহ করতে পার। যুক্তিবিদ্যার যেকোন বই থেকে লিখতে পার। তবে সেটা মূল বই হতে হবে। কোন গাইড বই নয়।
কোথাও না বুঝতে পারলে অবশ্যই কমেন্ট করবে

[adToAppearHe

চতুর্থ নিয়ম :

যে পদের সংজ্ঞা দেয়া হবে সংজ্ঞাটিকে সেই পদ অপেক্ষা স্পষ্ট ও সহজবােধ্য হতে হবে এবং সংজ্ঞাটিকে কিছুতেই কোনাে রূপকের মাধ্যমে বা দুর্বোধ্য ভাষায় ব্যক্ত করা যাবে না। অর্থাৎ সংজ্ঞায় সর্বদা সহজ ও সরল ভাষা ব্যবহার করতে হয় এবং রূপক বা আলঙ্কারিক শব্দ কিংবা জটিল ভাষা পরিহার করতে হয়। এনয়মচ লঙঘন করলে যে সকল যােক্তিক ভ্রান্ত বা অনুপপিত্ত ঘটে সেগুলাে নিম্নরূপ:

(ক) রূপক বা আলঙ্কারিক সংজ্ঞা অনুপপত্তি (Fallacy of Figurative Definition) : কোনাে পদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে যদি রূপক বা আলঙ্কারিক শব্দ ব্যবহার করা হয় তাহলে সংজ্ঞায়নে যে ত্রুটি দেখা দেয় তাকে রূপক বা আলঙ্কারিক সংজ্ঞা অনুপপত্তি (Fallacy of Figurative Definition) বলে। যেমন, ‘উট হলাে মরুভূমির জাহাজ’ অথবা, ‘সিংহ হয় পশুর ‘ রাজা’ উল্লিখিত বাক্য দু’টিতে ‘মরুভূমির জাহাজ’ এবং পশুর রাজা’ শব্দগুলি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে রূপক বা আলঙ্কারিক সংজ্ঞা অনুপপত্তি ঘটেছে।

(খ) দুর্বোধ্য সংজ্ঞা অনুপপত্তি (Fallacy of Obscure Definition) : কোনাে পদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে যদি কঠিন বা দুর্বোধ্য শব্দ এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যে তা বুঝতে পার প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সংজ্ঞায়নে যে ত্রুটি দেখা দেয় তাকে দুর্বোধ্য সংজ্ঞা অনুপপত্তি (Fallacy of Obscure Definition) বলে । যেমন, “শিক্ষা হচ্ছে শারীরবৃত্তিক ও মনােবৃত্তিক উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র মাধ্যম এ সংজ্ঞায় কঠিন বা দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে দুর্বোধ্য সংজ্ঞা অনুপপত্তি ঘটেছে।

পঞ্চম নিয়ম :

যেক্ষেত্রে সদর্থক সংজ্ঞা প্রদান সম্ভব, সেক্ষেত্রে নঞর্থক সংজ্ঞা দেয়া যাবে না। অর্থাৎ সংজো পদ নঞর্থক হলে সংজ্ঞা কখনও নর্থক হবে না। কারণ সংজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য হলাে কোনাে পদের অর্থ স্পষ্ট করা বা একটি পদ আসলে কী তা নির্দেশ অর্থাৎ পদটি কী নয় তা নির্দেশ করা সহজ কাজ নয়। এ নিয়মটি লম্বন করলে যে যৌক্তিক কান্তি বা তাপপত্তি ঘটে তা Fra ausera spelararao garlo (Fallacy of Negalive Definition) কোনাে পদের সংভা দিতে গিয়ে যদি নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করা হয় তাহলে সন্তানে যে এটি দেখা দেয় তাকে নর্থক সংঙ্গাজনিত অনুপপত্তি (Fallacy of Negative Definition)  যেমন, পাপ নয় পণ্য” এ সংজ্ঞাষা নেতিবাচক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। তাই এতে নর্থক সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।

আরও দেখুনঃ

এইচএসসি ২০২১ যুক্তিবিদ্যা ৩য় সপ্তাহ এসাইনমেন্ট উত্তর