জাতি গঠনে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর কৃতিত্ব ও সংস্কারসমূহঃ একটি পর্যালোচনা

জাতি গঠনে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর কৃতিত্ব ও সংস্কারসমূহঃ একটি পর্যালোচনা – দাখিল ইসলামের ইতিহাস [৫ম সপ্তাহ]  অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

দাখিল সালের পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর দেওয়া হল।

উত্তরঃ

ভূমিকাঃ মহানবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.) সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে সুখ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি আদর্শ জীবনবিধান প্রতিষ্ঠা করে সর্বাধিক কৃতিত্বের আসনে সমাসীন হয়েছেন। যার প্রশস্তি সর্বকালের ও সর্বযুগের জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের মুখে মুখে বিধৃত। নিম্নে প্রশ্নালােকে বিস্তারিত আলােচনা করা হল।

হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর রাজস্ব ব্যাখ্যাঃ

আরব দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার পর হজরত মুহাম্মদ (সা.) একে প্রাচীন ইতিহাস ও ভৌগােলিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কতিপয় প্রদেশে বিভক্ত করেন। এ প্রদেশগুলাে হলাে মদিনা (নয়া ইসলামী রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, এ প্রদেশে অবস্থিত হওয়ায় এখানে কোনাে প্রাদেশিক শাসনকর্তা ছিলেন না), খাইবার, মক্কা, তায়িফ, তায়াম, সানা, ইয়েমেন (নাজরান), বাহরায়েন, উমান ও হারামাউত।

প্রত্যেক প্রদেশে একজন করে প্রাদেশিক শাসনকর্তা ছিলেন| প্রাদেশিক শাসনকর্তাকে ‘ওয়ালী’ বলা হতাে। তিনি হজরত মুহাম্মদ (সা.) কর্তৃক নিযুক্ত হতেন এবং স্বীয় কার্যকলাপের জন্য তার কাছে দায়ী থাকতেন| নবুয়ত সংক্রান্ত কাজ ছাড়া মদিনায় নবী করিম (সা.) যেসব কাজ করতেন, প্রাদেশিক শাসনকর্তাকে স্বীয় এলাকায় সেসব কাজ করতে হতাে।

তিনি ছিলেন জামাতে নামাজের ইমাম, প্রধান সেনাপতি, বিচারক ও প্রশাসক। প্রাদেশিক শাসনকর্তা ব্যতীত নবী (সা.) সব উপজাতীয় এলাকায় আমির নিয়ােগ করেছিলেন।

তার ওপর জাকাত বা মিসকিন কর আদায় এবং সদকাহ বা স্বেচ্ছামূলক খয়রাত সংগ্রহের দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল। প্রাদেশিক বিচার বিভাগের কার্য পরিচালনার জন্য নবী করিম (সা.) কাজী নিযুক্ত করেছিলেন| মদিনায় বিচার বিভাগের কাজ তিনি নিজেই করতেন। প্রাক ইসলামী আরবে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনাে অস্তিত্ব ছিল না।

তাই সরকারি আয়-ব্যয়ের কথাও কেউ জানত অধীনে নিও না| হজরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বপ্রথম আরবে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেন| কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে তিনি একটি সুষ্ঠু ও কল্যাণকামী করেন| কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে তিনি একটি সুষ্ঠু ও কল্যাণকামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তােলেন| সবার জন্য অর্থনৈতিক সুযােগ-সুবিধা সৃষ্টি এবং দরিদ্রের আর্থিক নিরাপত্তা বিধান ছিল তার নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য। তার দ্বারাই মদিনাতে প্রথম সরকারি খাজাঞ্চিখানা স্থাপিত হয়। ইসলামের অনুমােদিত পাঁচটি উৎস থেকে রাষ্ট্রের জন্য রাজস্ব সংগ্রহ করা হতাে।

এ পাঁচটি উৎস হলাে-

১. জাকাত ও সদকাহ্

২.জিযিয়া;

৩. খারাজ;

৪. খুমস বা যুদ্ধকালে সংগৃহীত মালের এক-পঞ্চমাংশ এবং

৫. আল-ফে

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর চারিত্রিক গুনাবলিঃ

রাসূল (স.) এর চারিত্রিক গুণাবলী থেকে কিছু গুণাবলী নিম্নে উল্লেখ করা হলাে।

(১) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীঃ আল্লাহর প্রেরিত পুরুষদের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (স) (খাতাম আননবীয়ীন)। এখানে তাঁকে নবুয়তের সীলমােহরও বলা হয়। তিনি কেবল সর্বশেষ নবি নহেন সর্বশ্রেষ্ঠ নবিও ছিলেন। প্রখ্যাত ইউরােপীয় চিন্তাবিদ কার্লাইল, ঐতিহাসিক এডওয়ার্ড গীবন, এইচ, জি. ওয়েলস মহানবি (স) এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।

মানব চরিত্রের কাজল ও এর পবিত্র জীবনে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাঁর সম্বন্ধে বলেন, “হে মুহাম্মদ! নিশ্চয়ই আপনি অনুপম চরিত্রের অধিকারী। তাঁর নিষ্কলুষ চরিত্রে সকল প্রকার গুণ ও মহত্ত্বের ছাপ পরিস্ফুটিত হয়েছে। তার স্বভাবজাত সদাচার, কোমলতা, মহানুভবতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, ন্যায়পরায়ণতা ও সহিষ্ণুতা ছিল সত্যই বিস্ময়কর | তিনি ছিলেন একাধারে শিশুদের খেলার সাথী, স্নেহবৎসল পিতা, প্রেমময় স্বামী, বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী, রিক্তের বন্ধু, সত্যের দিশারী, ন্যায়পরায়ণ বিচারক, দক্ষ সমরকুশলী ও চিন্তাশীল শীল দার্শনিক। বস্তুত তার জীবনাদর্শ গােটা – মানবকুলের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।

(২) আল্লাহ উপর অবিচল বিশ্বাসঃ

আল্লাহর প্রতি অবিচলিত ঈমানের মূর্ত প্রকাশ ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (স)। সুদৃঢ় ঈমানই ছিল তাঁর মহৎ চারিত্রিক গুণাবলির উৎস| তাঁর প্রতিটি কাজে আল্লাহর নির্দেশের প্রতিফলন ছিল। কুরাইশদের হাতে তিনি অশেষ যাতনা ভােগ করেছিলেন, লাঞ্ছিত হয়েছিলেন। প্রতিকূল পরিবেশের বিরুদ্ধে তাঁকে সর্বক্ষণ সংগ্রাম করতে হয়েছে।

কিন্তু কখনও তিনি আল্লাহর নির্দেশিত সত্য পথ হতে বিচ্যুত হন নি; বরং দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছিলেন, “তারা যদি আমার ডান হাতে সূর্য এবং বাম হাতে চন্দ্র এনেও দেয়, তথাপি মহাসত্যের সেবা ও স্বীয় কর্তব্য হতে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হব না।”

(৩) আত্মপ্রত্যয়,ধৈর্যও সহিষ্ণুতারঃ চরম বিপদের সম্মুখীন হয়েও মহানবি (স) কোন দিন ধৈর্যহারা হননি বা আত্মবিশ্বাস হারাননি| তৌহিদের বাণীকে বিশ্বে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে এবং সামাজিক ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে তিনি বিরােধী শক্তি দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে অমানুসিক যন্ত্রণা ভােগ করেছেন, লাঞ্ছিত হয়েছেন, এমনকি প্রাণনাশের ভীতিপ্রাপ্ত হয়েছেন।

কিন্তু এতদসত্ত্বেও তিনি তার দৃঢ়বিশ্বাস ও উৎসাহ-উদ্দীপনা হতে এতটুকুও-বিচ্যুত হননি তিনি সর্বদাই বিপদগ্রস্ত মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক চরিত্র সংশােধনের সাফল্য সম্পর্কে আশাবাদী ছিলেন। তিনি অন্য ধর্মের প্রতিও সহিষ্ণু ছিলেন, জোরপূর্বক কাউকেও স্বধর্মে দীক্ষিত করেননি।

(৪) সততা ও সত্যবাদিতাঃ

নবুয়ত প্রাপ্তির বহু পূর্ব হতেই মহানবি (স) তাঁর সত্যবাদিতা ও বিশ্বস্ততার জন্য আরব সমাজে সুপরিচিত ছিলেন। সেই জাহেলিয়া যুগেও তিনি ছিলেন অন্যান্য আরববাসী হতে একটি ব্যতিক্রম চরিত্র। তাঁর চারিত্রিক মাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে আরবগণ তাঁকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল। কাবাঘরে কৃষ্ণপাথরকে কেন্দ্র করে বিবদমান বিভিন্ন গােত্রের মধ্যে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির উজ্জ হয়েছিল যুবক মুহাম্মদ (স) শান্তিপূর্ণভাবে এবং সকলকে ”? সন্তুষ্ট করে এর সমাধান করেছিলেন।

এ ধরনের গাত্ৰেীয় কলহ ও সামাজিক অরাজকতা দমনের উদ্দেশ্যে তিনি মক্কার নিঃস্বার্থ যুবকদের নিয়ে ‘হিলফ-উল-ফুজুল নামে শান্তি সংঘ গঠন করেছিলেন। মদিনায় হিজরতের পরও তিনি ইহুদি ও পৌত্তলিকদের বহু বিবাদ-বিসংবাদের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করেন। তিনি জীবনে কোনােদিন প্রতারণা, প্রবঞ্চনা ও মিথ্যার আশ্রয় নেন নি। তুদায়বিয়ার সন্ধির অঙ্গীকার রক্ষা করতে গিয়ে তিনি মক্কা হতে মদিনায় আগত মুসলমানদেরকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন।

(৫) বদান্যতা ও নম্রতাঃ হযরত মুহাম্মদ (স) আর্তের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেন। তাঁর বদান্যতার অসংখ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। বিপদে ধৈর্য, দয়া-দাক্ষিণ্য, অনুকম্পা তাঁর চরিত্রের ভূষণ ছিল। তিনি বলতেন, “আমি শাস্তি প্রদানের জন্য আবির্ভূত হইনি, শান্তির দূত হিসেবে এসেছি।” তিনি ছিলেন নম্র ও মিষ্টভাষী। তিনি কাউকে আঘাত দিয়ে কখনও কথা বলেন নি। দাসদাসীদের প্রতিও তিনি সদয় ব্যবহার করতেন।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কৃতিত্বঃ

মহানবী (সা.) ছিলেন সমগ্র বিশ্বের মাঝে এক নজিরবিহীন কীর্তিমান পুরুষ । তিনি ছিলেন আল্লাহর ঐশীবাণীর বাহক। তিনি যুগ – যুগান্তরে আরব সমাজের পৌত্তলিকতার অবসান ঘটিয়ে ইসলামের সুমহান বাণী প্রতিষ্ঠা করেন।

হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর সংস্কার সমূহঃ

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক তিনি ধর্মীয় রাজনৈতিক অর্থনীতি সামাজিক সহ বিভিন্ন সংস্থার করেন নিম্নে বিস্তারিত আলােচনা করা হলাে।

(১) ধর্মীয় সংস্কার: মহানবী (সা.) ছিলেন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম সংস্কারক | তাঁর আবির্ভাবের সময় আরব ও বহির্বিশ্বে প্রকৃত ধর্ম বলতে কিছুই ছিল না | সর্বত্র দেব – দেবী , জড় ও প্রকৃতির পূজা হতাে | ধর্মের নামে অধর্মের চর্চাই হতাে বেশি। এমন এক ধর্মহীন সমাজে মহান আল্লাহর রহমত হিসেবে মুহাম্মদ (সা.) আবির্ভূত হন ইসলামের শান্তির বাণী নিয়ে | পৃথিবীর ইতিহাসে যে কয়জন ধর্মসংস্কারকের আবির্ভাব ঘটেছে মহানবী (সা.) ছিলেন তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ | তিনি ধর্মকে মানুষের কল্যাণের সাথে সমন্বিত করেছেন । তার প্রচারিত ইসলাম ধর্ম ছিল মানব কল্যাণকামী ও পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা । ধর্মের শিক্ষার মাধ্যমে তিনি মানুষের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করেছেন ও মানুষের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেছেন | আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদ ঘােষণার পাশাপাশি নামাজ, রােজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি সহ যত ইবাদাত রয়েছে সকল কিছু শিক্ষা দিয়েছেন।

(২) সমাজ সংস্কারঃ

পৃথিবীতে যে কয়জন সমাজ সংস্কারকের আবির্ভাব ঘটেছে , মহানবী (সা. ছিলেন তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। তাঁর পরিচালিত সমাজের ভিত্তি ছিল সাম্য ও ভ্রাতৃত্ববেধ | সেখানে ছিল না কোন শ্রেণি ভেদাভেদ | মানবতার আদর্শে গঠিত সেই সমাজ ব্যবস্থায় ছিল পৃথিবীর যে কোন জাতির জন্য আদর্শস্বরুপ | তিনি সকল মানুষের মধ্যকার ভেদাভেদ ও বংশ – আভিজাত্যের গৌরব করেন। হিসেবে স্বীকৃতি দেন | সেই সমাজকাঠামাের মূল | ভিত্তি ছিল ন্যায়বিচার |

তিনি সকল প্রকার অসামাজিক কর্মকাণ্ড দূর করেন | মদ্যপান । মওসুলমানকে অপর মুসলমানের ভাই জুয়াখেলা , হত্যা, লুটতরাজ , কন্যাশিশু হত্যা , সুদ প্রথা ও নারীর প্রতি অমর্যাদা ইত্যাদি অন্যায় কাজ দূর করেন | মুহাম্মদ (সা.) সমাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেন। তিনি প্রাক – ইসলামী যুগের অন্ধকারে আচ্ছন্ন একটি সমাজকে | ইসলামের আদর্শে একটি আলােকিত সমাজে রুপান্তরিত করেন । তিনি একত্ববাদ , সাম্য ও ভ্রাতত্বের বন্ধনে সমাজ গঠন করেন | নারী ও দাসের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেন | সমাজ হতে সংঘাত অনাচার , মিথ্যাচার দূরীভূত করেন | তাই তিনি পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক।

(৩) রাজনৈতিক সংস্কারঃ

মহানবী (সা.) তৎকালীন আরব সমাজে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন সাধন করেন। তখন সম আরব উপদ্বীপ ছিল অসংখ্য গােত্রে – উপগােত্রে বিভক্ত | তাদের মধ্যে ছিল না কোন সম্প্রীতি | তাদের গােত্রপ্রীতি ছিল নিজের জীবন – অপেক্ষা মূল্যবান | তাই তাদের মধ্যে সর্বদা যদ্ধ – বিগ্রহ লেগেই থাকতাে। এরুপ শতাধিক বিচ্ছিন্ন আরব ওজন সহ আর গােত্রকে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে মহানবী (সা.) একটি সুশৃংখল আরব জাতি গঠন করেন |

ইসলামের অনুশাসনের ভিত্তিতে একটি সুশৃংখল । শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র কায়েম করেন | মহানবী (সা.) রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যে আদর্শ রেখে গেছেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত । তিনি ঐক্যের ও ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে একটি সুসংহত রাষ্ট্র কাঠামাে তৈরী করে গেছেন | জনগণের সামাজিক নিরাপত্তা ও ধর্মীয় মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন । তিনি গণতান্ত্রিক শাসনকাঠামাে প্রবর্তন করে গেছেন যা সকলের জন্য অনুকরণীয়।

(৪) অর্থনৈতিক সংস্কারঃ একটি রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সুসংহত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আবশ্যক | মহানবী (সা.) তাঁর পরিচালিত মদীনা রাষ্ট্রে একটি সুষ্ঠু অর্থনৈতিক কাঠামাে সৃষ্টি করেন এবং সেই সাথে প্রাক ইসলামী যুগের প্রচলিত বিভিন্ন অর্থ উপার্জন পন্থায় সংস্কার আনয়ন করেন | মহানবী (সা.) প্রাক ইসলামী যুগের নানাবিধ অর্থনৈতিক অনাচার সমাজ হতে দূর করেন । তিনি বৈধভবে অর্থ উপার্জনে উৎসাহিত করেন।

বিভিন্ন প্রকার পরিমিত রাজস্ব উৎসের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উৎসের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তােলেন | ধনী এবং গরীব এর মধ্যে ভালাে সম্পর্ক সৃষ্টি করার জন্য যাকাত এবং দান-ছদকার ব্যপারে মানুষকে উৎসাহিত করেন। পাশাপাশি মদ ও জুয়া থেকে বেচে থাকার আদেশ করেন।