বিদীর্ণ হিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি … ঝুঁটি-বাঁধা উড়ে সপ্তম সুরে পাড়িতে লাগিল গালি

অষ্টম শ্রেণির বাংলা নবম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারিত কাজ আজকে প্রকাশিত হয়েছে এখন আমরা আলোচনা করব অষ্টম শ্রেণির নবম সপ্তাহের বাংলা নির্ধারিত কাজ ৩।

অধ্যায়ের শিরোনাম: কবিতা ও

অধ্যায়ের নাম: ”দুই বিঘা জমি”

লিখেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ:

বর্ণনাধর্মী গদ্যে রূপান্তর:

বিদীর্ণ হিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি ….

ঝুঁটি-বাঁধা উড়ে সপ্তম সুরে পাড়িতে লাগিল গালি

দুই বিঘা জমি কবিতার উক্ত পঙক্তিগুলো (৪৯-৬২) পদ্যে রূপান্তর

নির্দেশনা: দুই বিঘা জমি কবিতা শব্দার্থ ও টীকা পাঠ পরিচিতি প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

অষ্টম শ্রেণির বাংলা নবম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

আজকের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন হলো: বিদীর্ণহিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি ঝুঁটিবাঁধা উড়ে সপ্তম সুরে পাড়িতে লাগিল গালি।

উক্ত কবিতাটি দুই বিঘা জমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি বাংলা ভাষার কবিতা।

কবিতাটি তার জমির প্রতি কৃষকের ভালোবাসার বর্ণনা দেয় এবং রিক্সাওয়ালা গল্পটির অনুপ্রেরণা ছিল যার ভিত্তিতে বিমল রায় পরিচালিত হিন্দি ছবি কাবিকা জন্য নির্মিত হয়েছিল।।

দুই বিঘা জমি কবিতার ওপেন ওপেন এর জমি দখল করে তাকে মুক্তি দেয় তবে ওপেন সেই সাতজনের জমিটি এক মুহূর্তের জন্য ভুলতে পারিনা।

সুতরাং সন্ন্যাসীর পোশাক পরে তিনি একজন সাধুর শিষ্য হয়েছিলেন এবং বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করার পরে 15 থেকে 16 বছরে একদিন তিনি তার সুপরিচিত গ্রামে ফিরে এসেছিলেন।

গ্রামের অন্য সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে হোক তা শেষ হয়ে গেছে তবে হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন যে তার শৈশবের স্মৃতি সম্বলিত আমের গাছ কি এখনো আছে।

সেই আম গাছের ছায়ায় বসে স্পকেন শৈশব ভাবছিলেন যখন হঠাৎ বাতাসে রাখলে দুটো পাকা আম তাহলে।

তিনি দুটি আম মায়ের স্নেহের উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন তবে তখন দৌড়ে এসেছিলেন মালি তিনি ওপেন কেঁচোর আখ্যা দিয়ে জমিদারের কাছে উপস্থাপন করেছিলেন।

ওপেন জমিদারকে দুটি আমের জন্য জিজ্ঞেস করলে জমিদার থাকে চোর বলে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন।

মূলত এই কবিতায় ওপেন নামের এক কৃষকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কবিতার প্রথম ব্যক্তির বর্ণনায় রচিত হয়েছে তিনি দরিদ্র মানুষ ছিলেন পৈত্রিক দুই বিঘা জমি ছিল তার অন্য কিছুই ছিল না।

তার গ্রামের ধ্বনি বাড়িওয়ালা জমিদার উপেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন এবং তাকে তার জমি থেকে উচ্ছেদ করেছিলেন।

শক্তিশালী জমিদারের বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে না পেরে ওপেন দা গ্রাম ছেড়ে চলে গেলেন একজন পবিত্র পুরুষের সন্ন্যাসী হয়েছিলেন এবং গৃহহীন ব্যক্তি হয় বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ শুরু করেছিলেন বেশ কয়েকবছর কাটার পর ওপেন শেষ পর্যন্ত তাঁর নিজের দেশে ফিরে গেলেন।

গ্রামের ঢোকার সময় তিনি প্রবল আবেগ অনুভব করছিলেন তিনি একটি আমের গাছের পাশে বসে স্মরণ করছিলেন যে শৈশবকালে তিনি কিভাবে গাছের চারপাশে খেলতেন।

এই কবিতার মাধ্যমে কবি দেখাতে চেয়েছেন সমাজের একশ্রেণীর লুটেরা বিত্তবান প্রবল প্রতাপ নিয়ে বাস করে তারা সাধারণ মানুষের সম্পদ লুট করে সম্পদশালী হয়।

তারা অক্ষশক্তি ও দাপটের জোরে অন্যায় কে ন্যায় অন্যায় কি অন্যায় বলে প্রতিষ্ঠা করে।

তাছাড়া সম্পদের মালিক রা আরও সম্পদ আহরণের জন্য কিভাবে লালায় হয় সেটি বিষয়টি এখানে উঠে এসেছে।