রবির বাবার ২বিঘা কৃষি জমি আছে। উক্ত জমির আলোকে একটি টেকসই পরিবেশ বান্ধব একটি কৃষিভিত্তিক প্রকল্পের রূপরেখা প্রস্তুত কর

এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২য় সপ্তাহের সমাধান অংশে এখন আমরা আলোচনা করবো অর্থনীতি ২য় পত্রের প্রদত্ত কাজ। এই সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর কাজ হিসেবে “রবির বাবার ২বিঘা জমি আছে। উক্ত জমির আলোকে একটি টেকসই পরিবেশ বান্ধব একটি কৃষিভিত্তিক প্রকল্পের রূপরেখা প্রস্তুত কর” এই কাজটি দেয়া হয়েছে। 

[adToAppearHere]

আপনি এখন থেকে মূলত এইচএসসি মানবিক গ্রুপ এর ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তরটি দেখবেন। আসুন তাহলে এই কাজ এর সঠিক উত্তরটি জেনে নেয়া যাক।

রবির বাবার ২বিঘা কৃষি জমি আছে। উক্ত জমির আলোকে একটি টেকসই পরিবেশ বান্ধব একটি কৃষিভিত্তিক প্রকল্পের রূপরেখা প্রস্তুত কর

Table of Contents

[adToAppearHere]

বাংলাদেশের কৃষি পরিবর্তনের ধারণা:

বাংলাদেশে বর্তমানে কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর কৃষি উৎপাদনযোগ্য ভূমির পরিমান বৃদ্ধি পায়নি। অথচ প্রতি মুহুর্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে খাদ্যগ্রহনকারীর সংখ্যা। বিদ্যমান কৃষিভূমিতে বসতবাড়ি নির্মান ও নগরায়নের ফলে কৃষি উৎপাদনযোগ্য ভূমির পরিমান ব্যাপক ভাবে হ্রাস পাওয়া স্বত্তেও কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশের সফলতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ পরিবর্তন উৎপাদনের কলাকৌশল,উপকরনসমূহের প্রয়োগ,শস্য-উদ্ভিদ ও প্রানিজ সম্পদ পরিচর্যা, উৎপাদনের পরিমান ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেশী লক্ষনীয়।

খাদ্যশস্য উৎপাদন:

[adToAppearHere]

ক) বর্তমানকালে বিভিন্ন শস্যের প্রচলিত বীজের পরিবর্তে উদ্ভাবিত নতুন নতুন জাতের উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার এমন বাড়ছে। বিশেষ করে ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে তা বিশেষভাবে লক্ষনীয়। বর্তমানে প্রায় ৩৭টি উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ হচ্ছে।

খ) মানুষ ও পশুচালিত লাঙলের পরিবর্তে পাওয়ারটিলার, ভাড়ায় চালিত ট্রাক্টর বাহিত লাঙল,শস্য মাড়াই যন্ত্র ইত্যাদির ব্যবহার চলছে।

গ) গোবরের সারের পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম সার ও কীটনাশকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিবর্তে যন্ত্রনির্ভর পানিসেচের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

[adToAppearHere]

ঘ) শস্য বহুমুখীকরণও শস্য উৎপাদনে পরিবর্তনের ধারার আর একটি রূপ। আবার এক জমিতে এখন বছরে দুটি তিনটি শস্যের চাষ চলছে।

ঙ) কৃষক তার জমির আইলে ফলের গাছ লাগাচ্ছে, জমি পতিত না রেখে সেখানে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করেছে। ফলে নিবিড় চাষের মাত্রা ও আওতা বাড়ছে।

চ) শস্য উৎপাদনের পরিমানেও এসেছে দারুন পরিবর্তন। যা নিচের সারণি থেকে লক্ষ্যনীয়।

[adToAppearHere]

উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তিকে প্রকৃত ব্যবহার করতে হবে। কৃষকের খামারে। মাঠে দ্রুত পৌঁছাতে বর্তমান কৃষি সম্প্রসারণ কৌশল এবং মোবাইল ফোন সংযোজনের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স এগ্রিকালচার তথা ই-কৃষির প্রচলন প্রয়োজন।

কৃষি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আর কৃষির উন্নয়ন বহুলাংশে নির্ভর করে তথ্য ও প্রযুক্তির সঠিক ও সময়োপযোগী ব্যবহারের ওপর। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়ন তো বটেই, পরিবর্তনশীল কৃষি উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সময়ের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বিশ্ব এখন তথ্য প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।

[adToAppearHere]

২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশের জিডিপিতে সমন্বিত কৃষিখাতের অবদান ধরা হয় শতকরা ১৫.৯৬ ভাগ। অর্থাৎ পূর্বের তুলনায় বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে কৃষিখাতের অবদান অনেক কমে এসেছে।

দেশে শিল্প, সেবা ও ব্যবসা ক্রমেই উন্নত হওয়ায় এমনটি হয়েছে। জিডিপিতে কৃষির উপখতগুলোর অবদানের ক্ষেত্রে যথেষ্ট তারতম্য দেখা যায়। উপখাত গুলোর মধ্যে শস্য ও শাক-সবজি উপখাতের অবদান সবচেয়ে বেশি। তারপর রয়েছে প্রাণিসম্পদ ও বনজসম্পদ উপখাত;সার্বিক বিবেচনায় মৎস্য খাতের অবদান প্রাণিসম্পদ ও বনজ সম্পদ উপখাত থেকে বেশি।

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সংকট উত্তরণে অভিযোজনের উপায় অনুসন্ধান:

[adToAppearHere]

বাংলাদেশের ভূখন্ড উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে ক্রমশ ঢালু। এর ফলে নদ-নদীর গতিপথ উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ধরনের ভৌগোলিক অবস্থান জনিত কারণে বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি, কালবৈশখী, শিলাবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি প্রভৃতি প্রতিকূল অবস্থা দেখা যায়। জলবায়ুগত কোন কোন উপাদানগুলো ফসল উৎপাদনের জন্য প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি করে। প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টিকারী জলবায়ুগত উপাদানগুলো মধ্যে রয়েছেঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বোস, বন্যা, খরা ইত্যাদি।

ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস

[adToAppearHere]

বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্রোপকূল এলাকায় এর তীব্রতা বেশি। উপকূলের প্রায় ২.৮৫ মিলিয়ন হেক্টর এলাকা প্রায় প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমুদ্রে যখন নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় তখন তা সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের আকারে স্থলভাগের দিকে আসে। এর ফলে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি উঁচু হয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই স্থলভাগে ঢুকে পড়ে।

বন্যা

সাধারণভাবে নদী-নালা, খাল-বিল দিয়ে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি পানি বয়ে গেলেই বন্যা দেখা দেয়। বন্যা বাংলাদেশে অতি স্বাভাবিক ঘটনা। কোন কোন বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবার কোন কোন বছর বিভিন্ন সময়ে বন্যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়। বৃষ্টি জলীয় বাষ্প সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়। এই মৌসুমী বায়ু উত্তরের পাহাড়ের গায়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। বাংলাদেশের উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে ক্রমশ ঢালু হওয়াতে বৃষ্টির পানি নদ-নদী দিয়ে প্রবাহিত হয় দক্ষিণ দিকে।

খরা

[adToAppearHere]

খরা বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত ও মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। খরার কারণে এদেশে ৩০-৭০% পর্যন্ত ফসলহানি হতে পারে। গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য মাটিতে প্রয়োজনীয় পানির ঘাটতি হলে সেই অবস্থাকে খরা বলা হয়। যে মৌসুমে সাধারণত মাটিতে রসের এই ঘাটতি অবস্থা থাকে তাকে বলা হয় খরা মৌসুম। খরার প্রধান প্রধান কারণগুলি হল অনাবৃষ্টি, সেচের পানির অভাব, প্রখর রৌদ্রতাপ ও বেলে বা ঢালু জমিতে কোন আচ্ছাদন না থাকা। খরা অবস্থায় চারা গাছ খুব সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খরাকে তীব্র, মাঝারি ও সাধারণ এই তিনভাগে ভাগ করা যেতে পারে। বাংলাদেশে সকল মৌসুমেই খরা দেখা দিতে পারে। বরেন্দ্র অঞ্চল ও গঙ্গা পলিমাটি এলাকার নওয়াবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ জেলায় প্রায় ১০ লক্ষ হেক্টর জমিতে প্রতি বছর প্রচন্ড খরা দেখা দেয়।

বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় ফসল রক্ষার কৌশল

১. অতিবৃষ্টি : বাংলাদেশে জুন থেকে অক্টোবর মাসে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। এ সময়ে কখনো কখনো একটানা কয়েকদিন প্রচুর বৃষ্টি হয়ে থাকে একে অতিবৃষ্টি বলে। অনেক ফসলের গাছের গোড়া নেতিয়ে বা হেলে পড়ে। এক্ষেত্রে গাছের চারার গোড়ায় মাটি দিয়ে সোজা করে বাঁশের খুঁটির সাথে বেঁধে দিতে হবে। এ সময় শাক সবজির মাঠ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২. অনাবৃষ্টি : যদি শুষ্ক মৌসুমে একটানা ১৫ দিন বা এর বেশীদিন বৃষ্টি না হয় তখন আমরা তাকে অনাবৃষ্টি বলি। অনাবৃষ্টির হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য আমরা সেচ দিয়ে থাকি। বৃষ্টি নির্ভর আমন ধান চাষের ক্ষেত্রে যদি অনাবৃষ্টি দেখা দেয় তবে জমিতে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। জমিতে নিড়ানি দিতে হবে। শীতকালীন সবজি ক্ষেতে জাবড়া প্রয়োগ করে পানি সংরক্ষণ করতে হবে।

খরা অবস্থায় ফসল রক্ষার কৌশল

[adToAppearHere]

১. উপযুক্ত ফসল বা ফসলের জাত ব্যবহার : খরা শুরু হওয়ার আগেই ফসল তোলা যাবে এমন স্বল্পায়ু জাতের অথবা খরা সহ্য করতে পারে এমন জাতের চাষ করতে হবে। যেমন: আমন মৌসুমে বিনা ধান ৭, ব্রি ধান ৩৩ এক মাস আগে পাকে। ফলে সেপ্টম্বর-অক্টোবর মাসের খরা থেকে ফসল রক্ষা করা যায়। বিজয়, প্রদীপ গমের দুটি খরা সহনশীল জাত।

২. মাটির ছিদ্র নষ্টকরণ : খরা কবলিত এলাকায় বৃষ্টির মৌসুম শেষ হওয়ার পর মাটিতে অগভীর চাষ দিয়ে রাখতে হবে। এতে করে মাটির উপরিভাগের সুক্ষ্ম ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।

৩. অগভীর চাষ : অগভীর চাষ দিয়ে মাটির আর্দ্রতা রক্ষা করতে হবে। প্রতি চাষের পর মই দিয়ে মাটিকে আাঁটসাট অবস্থায় রাখতে হবে। এতে মাটিতে পানির অভাব পূরণ হবে।

খরায় পশুপাখি রক্ষার কৌশল

[adToAppearHere]

খরা বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রতিবছরই শুকনো মৌসুমে খরা কবলিত হয়। খরা মৌসুমে সবুজ ঘাসের অভাবে কৃষকেরা পশু খাদ্য হিসেবে মূলত খড়ের ওপরেই নির্ভরশীল থাকেন। কিন্তু পশুর স্বাভাবিক পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য ঘাস না খাইয়ে কেবলমাত্র কেবল খড়ই যথেষ্ট নয়। পশুকে কেবলমাত্র ছোবড়া জাতীয় খাদ্য খাওয়ালেই চলবে না । খড়ে অল্প পরিমাণ শর্করা রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে অন্যান্য খাদ্য উপাদান অনুপস্থিত। তাই কেবলমাত্র খড় বিচালি খেলে পশুপাখি অনিবার্যভাবেই অপুষ্টির শিকার হয়। একারণে খরা পরিস্থিতিতে পশুপাখিকে কাাঁচা ঘাসের সম্পূরক বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খাওয়ানো প্রয়োজন।

কৃষিতে পারমাণবিক শক্তি, জৈব প্রযুক্তি ,আইসিটি এর ব্যবহারের সুফল:

[adToAppearHere]

কৃষিতে পারমানবিক পদ্ধতি/প্রযুক্তি

কৃষিক্ষেত্রে পারমানবিক শক্তি বিকিরণকে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে কাজে লাগানোই হলো পারমানবিক কৃষি পদ্ধতি/প্রযুক্তি। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, পারমানবিক প্রযুক্তির অধীনে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্ভিদ ও প্রাণীর গুনগত, পরিমাণগত বা রূপগত পরিবর্তনকে কৃষিতে পারমানবিক পদ্ধতি/প্রযুক্তি বলে পরিচিত।

বায়োটেকনোলজি পদ্ধতি বা জৈব প্রযুক্তি

বায়োটেকনোলজি পদ্ধতি বা জৈব প্রযুক্তি উদ্ভিদ, প্রাণী এবং অনুজীবের পরিমিত রূপান্তর ও মান উন্নীতকরণে যে বৈজ্ঞানিক কলাকৌশল ব্যবহার করা হয় তাই হলো বায়োটেকনোলজি পদ্ধতি বা জৈব প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তির সাহায্যে বিদ্যমান উদ্ভিদ ও প্রাণী থেকে উন্নততর ও অধিক উৎপাদনক্ষম ধরনের উদ্ভিদ উৎপাদন ও প্রাণীর প্রজনন সম্ভব।

বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে আইসিটি এর ব্যবহার

[adToAppearHere]

বাংলাদেশে কৃষকদের কৃষি উৎপাদন ও কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে আইসিটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। নিচে তার বিবরণ দেওয়া হলো:

১। কৃষি তথ্য সার্ভিস: বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষি তথ্য সার্ভিস প্রতিষ্ঠানটি আইসিটি এর সাহায্যে কৃষকদেরকে কৃষিসংক্রান্ত তথ্য ও প্রযুক্তি জানতে সাহায্য করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সিনেমা ভ্যানে করে তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর বিনোদনমূলক কৃষি অনুষ্ঠান প্রচার করছে। এক্ষেত্রে বিনোদন লাভের সাথে সাথে কৃষকরা কৃষি উৎপাদন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় জানতে পারছে। প্রতিষ্ঠানটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা কৃষি উৎপাদনের সাথে জড়িত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে পারে।

২। ইন্টারনেট: আজকাল বাংলাদেশের শিক্ষিত কৃষকেরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কৃষি-উৎপাদন ও পণ্য বিপণন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় জানতে পারে। কৃষি তথ্য সার্ভিস গ্রাম পর্যায়ে কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করে তার মাধ্যমে কৃষি তথ্য হস্তান্তরের ব্যবস্থা করে। এখন দেশে কৃষি তথ্য পাওয়ার জন্য কতগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে এগুলো হল: ইত্যাদি। এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কৃষকরা কৃষি উৎপাদন সংক্রান্ত যেকোন সমস্যার সমাধান পেতে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে পরিচিত হতে পারে।

[adToAppearHere]

৩। টিভি চ্যানেল: কৃষক ও কৃষির উন্নতির জন্য কৃষি তথ্য প্রদানের ব্যাপারে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল গুলো যথেষ্ট তৎপর ।এ প্রসঙ্গে চ্যানেল আই. এর হৃদয়ে মাটি ও মানুষ, বৈশাখীর কৃষি ও জীবন, বাংলাভিশনের শ্যামল ছায়া, জিটিভির সবুজ বাংলা, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষকরা স্বচক্ষে কৃষির বিভিন্ন বিষয় অবলোকন করে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগ করতে পারে।

৪। মোবাইল ফোন : বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও কৃষকরা কৃষিকাজ উপযোগী তথ্য ও পরামর্শ পেতে পারে । মোবাইল কোম্পানি বাংলা লিংক- এর জিজ্ঞাসা ৭৬৭৬ নম্বরটি কৃষি সংশ্লিষ্ট সেবাদানের জন্য উন্মুক্ত রেখেছে । কৃষকরা গ্রামাঞ্চলে ,সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত কৃষি কল সেন্টারগুলোতে কল করে সরাসরি অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে পারে।

[adToAppearHere]

এভাবে দেখা যায়, আইসিটি ব্যবহার করে কৃষকরা সহজেই দেশ ও দেশের বাইরের কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত জানতে এবং তার সাহায্যে সুষ্ঠুভাবে কৃষিকাজ পরিচালনা করতে পারে ।

বাংলাদেশের কৃষিতে আইসিটি ব্যবহারের গুরুত্ব

[adToAppearHere]

বর্তমানকালে ফলপ্রসূ উপায়ে কৃষিকাজ পরিচালনার জন্য আইসিটির ব্যবহারের বিকল্প নেই। নিচে বাংলাদেশের কৃষিতে আইসিটি ব্যবহারের গুরুত্ব আলোচনা করা হল:

১। আবাহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য প্রাপ্তি: কৃষিকাজে আবহাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময় মতো বীজ বপন, চারা তৈরি, রোপন, কীটনাশক প্রয়োগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে আগাম আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য জানা একান্ত প্রয়োজন। আবহাওয়ার সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে শস্য ও মৎস্য ক্ষেত্রে কতগুলো পরিপূরক ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম গ্রহন করা যায়। তাছাড়া,কৃষিকাজ সুষ্ঠুরূপে পরিচালনার জন্য কৃষকদেরকে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা ও সমাধান,প্রাকৃতিক দূর্যোগের পূর্বাভাস ইত্যাদি সম্পর্কেও অবিহিত হতে হয়।

[adToAppearHere]

২। উন্নত উপকরণের তথ্য সংগ্রহ: আজকাল কৃষি উৎপাদনের মান ও পরিমান বৃদ্ধির জন্য দেশে দেশে উন্নততর বীজ, সার ও কীটনাশক উদ্ভাবিত হচ্ছে। এর সাথে রয়েছে নতুন নতুন কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যপারও। মানসম্মত সর্বাধিক কৃষিফলন পাওয়ার জন্য সর্বত্তম কৃষি উপকরণ ও টেকসই প্রযুক্তির নির্বাচন প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে যথার্থ তথ্য দ্রুত পেতে হলে আইসিটির ব্যবহার আবশ্যক।

৩। কৃষি উপকরণ সমূহ ব্যবহারের নিয়ম-কানুন: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নত ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ সংগ্রহের সাথে সাথে তার ব্যবহারের নিয়মকানুন জানা অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় বিষয় সহজেই জানা যায়।

কৃষি উন্নয়নে কৃষি প্রযুক্তি, সরকারের গৃহীত নীতি ও কর্মসূচির সাফল্য মূল্যায়ন:

[adToAppearHere]

কৃষির টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক তথ্যপ্রযুক্তি রয়েছে। এসব তথ্য প্রযুক্তি কৃষকের ব্যবহার উপযোগী ও সহজবোধ্য করে স্বল্পসময়ের মধ্যে তাদের দোড়গোয়ায় পোঁছে দিতে পারলে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকের আর্থসামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে।

জীবনযাত্রার মান বাড়বে। কৃষি লাভজনক ও ঝুঁকিমুক্ত হবে। তরুণ উদ্যোক্তারা এ খাতে এগিয়ে আসবে। কৃষিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে—এতে সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই।

[adToAppearHere]

লাহোর প্রস্তাবের প্রেক্ষাপট হিসেবে বঙ্গভঙ্গ, মুসলিম লীগ এবং দ্বি-জাতি তত্ত্বের উপর একটি নিবন্ধন লিখ