বাংলাদেশ রেলওয়ের ই টিকেটিং সার্ভিস পেতে হলে আপনাকে এন আইডি ভেরিফাই করতে হবে। ১ মার্চ ২০২৩ তারিখ থেকে কোন প্রকারে ভেরিফিকেশন আইডি ছাড়া অনলাইন টিকেট বিক্রয় করা হবে না। আর টিকেট ব্যতীত কোন ব্যক্তি ট্রেনে ভ্রমন করলে জরিমানা গুনতে হবে। আপনি যদি ট্রেন স্টেশন থেকে টিকেট কিনতে চান তার জন্য ও আপনাকে মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করতে হবে। কোন যাত্রী জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যতীত ট্রেনে ভ্রমণ নিষেধ। আপনি যেই আইডির আওতায় ট্রেনের টিকেট ক্রয় করেছেন আপনার সাথে সেই এনআইডি কার্ডের ফটোকপি অথবা মূলক অফিস থাকতে হবে। নিয়মে টিকেট ক্রয় এবং জাতীয় পরিচয় পত্র ভেরিফিকেশন করার জন্য https://eticket.railway.gov.bd/en এই অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে।
ট্রেনের টিকেট নিশ্চায়ন করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীরা প্রতিদিন বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে। এর মধ্যে কোন যাত্রী যদি টেনে টিকেট ছাড়া অথবা অন্য কোন ব্যক্তির আইডি দ্বারা ক্রয় কৃত টিকেট বহন করে তাহলে জরিমানা করা হবে। বাংলাদেশের রেলওয়ের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আশা করি ট্রেনে ভ্রমণের পূর্বে আপনি অবশ্যই সঠিক নিয়ম পদ্ধতি মেনে চলে জাতীয় পরিচয় পত্র ভেরিফিকেশন করে নিবেন।
Account Verify Official Website Link
https://eticket.railway.gov.bd/
যেহেতু বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে তাই সকলকে এটি মেনে চলা প্রয়োজন। বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন ই টিকেটিং সিস্টেম ২০১০ সাল থেকে শুরু করেছিল। বর্তমানে এ পদ্ধতি পরিচালনার জন্য সহজ ডট কম কে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ থাকলেও যাত্রীরা তাদের টিকেট খুব সহজে অনলাইন থেকে ক্রয় করতে পারছেন।

উপরের ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন গণবিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়েছে। এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলা হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের জাতটিসা ধরনের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই এর মাধ্যমে রেলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটিং ব্যবস্থা ও অনলাইন এর মাধ্যমে প্রকৃত টিকেট অনলাইনে রিফান্ডের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে যেটি পহেলা মার্চ ২০২৩ তারিখ হতে কার্যকর হবে।
নতুন ওয়েবসাইট থেকে ভেরিফাই করতে এখানে ক্লিক করুন
বর্তমান এই নতুন পদ্ধতিতে টিকেটের উপর মুদ্রিত যাত্রীর নাম ও এনআইডি নম্বর যাত্রী কর্তৃক প্রদর্শিত পরিচয়পত্রের সাথে না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকিটে ভ্রমণের দায় অভিযুক্ত করা হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী জরিমানা সহ ভাড়া আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একজন যাত্রী রেল সেবা একবার রেলওয়ে টিকিটিং ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে ক্রয় কৃত টিকিট অনলাইনে রিফান্ড করতে পারবে। এক্ষেত্রে টিকেট কয়ের সময় যে পেমেন্ট গেটে ব্যবহার করা হবে সেই একই পেমেন্ট গেটের মাধ্যমে রিফান্ড সম্পন্ন করা হবে।
ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি রোধ করার জন্য বর্তমানে ট্রেনের যাত্রীদের জাতীয় পরিচয় পত্র বহন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কিছু যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হলেও ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রোধ করা সম্ভব বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। আশাকরি এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে এবং সকলের সৌভাগ্য বহন করবে।