সংবিধানের কততম সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা অন্তর্ভুক্ত করা হয়?

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতার ঘোষণাটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সংবিধানের কততম সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা অন্তর্ভুক্ত করা হয়?

 ১০ এপ্রিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস। ১৯৭১ সালে আজকের এই দিনেই বাঙালি জাতি তার আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছিল। 

সংবিধানের কততম সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা অন্তর্ভুক্ত করা হয়?

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের একটি ঐতিহাসিক দলিল। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৫০(১) অনুচ্ছেদ এবং চতুর্থ তফসিলে উল্লেখ করা হয়েছে যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের একটি ক্রান্তিকালীন অস্থায়ী বিধান হিসেবে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত হবে।

পঞ্চদশ সংশোধনী

এতে সন্নিবেশিত হয়েছে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণ, ২৬ মার্চ তার দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকারের জারি করা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও।

এসব বিষয়সহ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ বৃহস্পতিবার পাস করেছে জাতীয় সংসদ।

এতে সন্নিবেশিত হয়েছে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণ, ২৬ মার্চ তার দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকারের জারি করা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও।

স্বাধীনতার ঘোষণা :-

পাস হওয়া বিলে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে ১৫০(২) অনুচ্ছেদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত বাংলাদেশের ঘোষণা অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয়েছে। বলা হয় ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত শেষে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘোষণা।’

ঘোষণাটি হলো —‘ইহাই হয়তো আমার শেষবার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছ, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।’

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ :

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ওই [বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান] ভাষণ এবং এর ধারাবাহিকতায় পরবর্তী কার্যক্রম নেওয়ার নির্দেশনা তথা ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া টেলিগ্রাম সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে বিলে সুপারিশ রয়েছে। মুজিবনগর সরকারের ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও পাস হওয়া বিলে রয়েছে