প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আমরা কীভাবে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি?

প্রতিবন্ধী শিশুদের সমাজে সত্যিকার অন্তর্ভুক্তির জন্য ভুল ধারণা ও পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধে খাতভিত্তিক কার্যক্রমের অধীনে সহায়ক আচরণ ও সামাজিক পরিবর্তনের কৌশল তৈরিতে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

প্রতিবন্ধী শিশুর জন্য গৃহিত উদ্যোগগুলো বিশেষায়িত এবং আলাদা। এ ধরনের উদ্যোগগুলো মূলধারার কর্মসূচি ও সেবার আওতার বাইরে থেকে যায়।

জন্মনিবন্ধন না করার মধ্য দিয়ে প্রতিবন্ধী অনেক শিশুর জীবনের প্রথম থেকেই বঞ্চণার শুরু হয়। আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির কারণে তারা সামাজিক সেবা ও আইনগত নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত হয়।

উন্নয়নের ধীরগতির সত্ত্বেও পরিমার্জন এবং সামাজিক সচেতনতার কারণে পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করা যায়। প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকারের বাড়তি সুযোগ এবং দক্ষতার বিকাশ ও চাকুরীর সুযোগ তৈরী হচ্ছে।

প্রতিবন্ধী শিশুদের সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ইউনিসেফ বিশ্বাস করে যে, প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিজেরা  অন্তর্ভূক্তিমূলক হলেই কেবল প্রতিবন্ধীদের নিয়ে তাদের কার্যক্রম সফল হবে।

প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে ২০১৩ সালে ইউনিসেফ-এর  অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের কৌশলগত কাঠামোটি প্রণয়ন করা হয়। এছাড়াও সংস্থাটি প্রতিবন্ধী শিশুর বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য জাতীয় অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় একটি নির্দেশিকা তৈরী করেছে।