বাংলাদেশের মানচিত্র অংকন করে পাট, চা ও ইক্ষু উৎপাদনকারী অঞ্চলসমূহ প্রদর্শন করা। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষি গবেষণা কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন পাট উৎপাদন অঞ্চলে বিস্তৃত। মানিকগঞ্জে রয়েছে কেন্দ্রীয় গবেষণা কেন্দ্র, যা সদর দপ্তর থেকে প্রায় ৫৫ কিমি উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।
চারটি আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে ফরিদপুর, রংপুর, কিশোরগঞ্জ ও চান্দিনায়। যশোরের মনিরামপুর ও নারায়ণগঞ্জের তারাবোতে রয়েছে দুটি উপকেন্দ্র। এসব কেন্দ্র ছাড়াও বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রসারের লক্ষ্যে দেশের পাট উৎপাদন অঞ্চলসমূহে চারটি খামার ব্যবস্থা গবেষণা সাইট এবং ৮টি সহায়তা কেন্দ্র (subvention centre) পরিচালনা করছে।
চা উৎপাদনকারী অঞ্চলসমূহ প্রদর্শন
পাটের পরেই চা হচ্ছে বাংলাদেশের সবথেকে বেশি রপ্তানি হওয়া অর্থকারী ফসল। এই শিল্প থেকে জাতীয় জিডিপির ১% আসে। চা উৎপাদনকারী জেলাগুলো হচ্ছে- মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম, পঞ্চগড়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং রাঙ্গামাটি।
এক সময়কার বিশ্বের প্রধান একটি চা রপ্তানিকারক দেশ, বাংলাদেশ এখন মাত্র সাধারণ এক রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশি মধ্যম শ্রেণীর উত্থান এই শিল্পকে লাভজনক দেশীয় বাজারের দিকে আলোকপাত করে ব্যাপকভাবে চালিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে এই সেক্টরটি ম ম ইস্পাহানি লিমিটেড, কাজী এন্ড কাজী, ট্রান্সকম গ্রুপ, জেমস ফিনলে বাংলাদেশ, ওরিয়ন গ্রুপ, আবুল খায়ের গ্রুপ এবং ডাঙ্কান ব্রাদার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের মতো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
ইক্ষু উৎপাদনকারী অঞ্চলসমূহ
প্রায় সারা দেশেই আখ উৎপাদন হয় এর মধ্যে সে সমস্ত জেলায় আখের আবাদ বেশি হয় তা নিচে দেয়া হল:
রাজশাহী, পাবনা, চাপাই নবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জামালপুর, গাজীপুর, শেরপুর, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, ঝিনাইদহ, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী
বাংলাদেশের সর্বত্র কমবেশি আখ জন্মালেও চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, যশোর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা এবং রাজশাহী আখ চাষের প্রধান এলাকা।
বর্ষজীবী ফসল হওয়ার কারণে প্রায় সারা বছরই মাঠে আখ থাকে। এতে অনেক কৃষক আখের চেয়ে অন্য লাভজনক অর্থকরী ফসল জন্মাতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। ফলে সাম্প্রতিককালে আখের মোট চাষ এলাকা এবং সেসঙ্গে উৎপাদনের মাত্রা কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। কান্ডের গোড়ায় কেটে আখ ফসল সংগ্রহ করা হয়। বাংলাদেশে এ ফসল কাটার সময় অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। উপযুক্ত বয়সে আখ কাটার ওপর ফলন ও চিনির পরিমাণ নির্ভর করে।