রক্ত চলাচলের সময় ধমনির গায়ে যে চাপ তৈরি হয়, তাকে রক্তচাপ বলে। হৃৎপিণ্ডের সংকোচন বা সিস্টোল অবস্থায় ধমনির গায়ে রক্তচাপের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। একে সিস্টোলিক চাপ (Systolic Pressure) বলে। হৃৎপিণ্ডের (প্রকৃতপক্ষে নিলয়ের) প্রসারণ বা ডাইয়াস্টোল অবস্থায় রক্তচাপ সবচেয়ে কম থাকে। একে ডায়াস্টোলিক চাপ (Diastolic Pressure) বলে।
চিকিৎসকদের মতে, পরিণত বয়সে একজন মানুষের আদর্শ রক্তচাপ (Blood pressure) সাধারণত ১২০/৮০ মিলিমিটার মানের কাছাকাছি। রক্তচাপকে দুটি সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়।
প্রথমটি উচ্চমান এবং দ্বিতীয়টি নিম্নমান। রক্তের উচ্চ চাপকে সিস্টোলিক (Systolic) চাপ বলে যার আদর্শ মান ১২০ মিলিমিটারের নিচে। নিম্নচাপকে ডায়াস্টোলিক (Diastolic) চাপ বলে। এই চাপটির আদর্শ মান ৮০ মিলিমিটারের নিচে।
এই চাপটি হৃৎপিণ্ডের দুটি বিটের মাঝামাঝি সময় রক্তনালিতে সৃষ্টি হয়। দুধরনের রক্তচাপের পার্থক্যকে ধমনিঘাত বা নাড়িঘাত চাপ (Pulse pressure) বলা হয়। সাধারণত সুস্থ অবস্থায় হাতের কব্জিতে রেট তথা হৎস্পন্দনের মান প্রতি মিনিটে ৬০-১০০। হাতের কব্জিতে হালকা করে চাপ দিয়ে ধরে পালস রেট বের করা যায়।
স্ফিগমােম্যানােমিটার (Sphygmomanometer) বা সংক্ষেপে বিপি যন্ত্রের সাহায্যে রক্তচাপ মাপা যায়। এই যন্ত্র দিয়ে ডায়াস্টোলিক ও সিস্টোলিক চাপ দেখে রক্তচাপ নির্ণয় করা যায়।
নিচে আমার পরিবারের একজন সদস্যের ( আমার আব্বু) হাতের পালস রেট নির্ণয় করা হলো। এ পরীক্ষাটি তিনি ঘুম থেকে ওঠার পর করেছিলাম। কারণ পরীক্ষাটি করার সময় ব্যক্তিকে পরীক্ষণ এর পূর্বে অন্তত ৬ ঘন্টা চা, কফি, ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হয়।
নিচে আমার বাবার বিভিন্ন সময়ে তথা শোয়া, হাটা, বসা, ৫ মিনিট দৌড়ানোর পর পালস রেট নির্ণয় করে উল্লেখ করা হলঃ
শারীরিক অবস্থা | পালস রেট( প্রতি মিনিটে) |
১. শোয়া | ৭৪ |
২. বসা | ৭৬ |
৩. দাঁড়ানো | ৮০ |
৪. ৫ মিনিট দ্রুতবেগে হাঁটা | ১২০ |
বিভিন্ন সময়ে তাঁর পালস রেট বিভিন্ন রকম। এর কারণ হচ্ছে তিনি সেই সময়গুলোতে আলাদা আলাদা শারীরিক অবস্থায় ছিলেন। শোয়া অবস্থায় তার শারীরিক কর্মকাণ্ড সবচেয়ে কম।
একটি সুস্থ ব্যক্তির এমনকি হৃদস্পন্দন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। এই সূচক অনেক কারণের দ্বারা প্রভাবিত হয়, উদাহরণস্বরূপ, মানসিক এবং শারীরিক লোড উপস্থিতি। তীব্র চাপ ভোগ করার পর, পালস হার প্রতি মিনিটে 140 শক বেড়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, ক্রীড়া, শারীরিক ব্যায়াম, 60 সেকেন্ডের মধ্যে হার্টের হার 9 0 -100 স্ট্রোক পর্যন্ত পৌঁছায় সেই সত্যের অবতারণা।
একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক নাড়ি 60-90 jerks প্রতি মিনিট। হৃদয়ের তাল দিনের বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন করতে পারে:
সকালে এবং রাতে, এটি প্রতি মিনিটে 50-70 বিট হয়;
দিন এবং সন্ধ্যায় কাছাকাছি এটি একই ইউনিট সময় সর্বোচ্চ 90 oscillations পৌঁছে।
বয়স দ্বারা হার্ট রেট হারের হার
সারা জীবন ধরে, ফেয়ার সেক্সের প্রতিনিধিরা পালস এর মূল্য পরিবর্তন করে। প্রতি দশকটি মানচিত্রে প্রতি মিনিটে প্রতি মিনিটে 5-10 বাইট যোগ করে, যা মান হিসাবে বিবেচিত হয়। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে নারীদের জন্য পালস হার (সময় একক – 60 সেকেন্ড):
20-30 বছর – 60-70 স্ট্রোক;
40 বছর – 75 টি স্পন্দন;
50 বছর বয়সী বয়স – 80 ঊর্ধ্বমুখী;
60 বছর – 85 স্ট্রোক;
70 এবং আরো বছর – 90 oscillations
উচ্চ পালস – কারণ
ঔষধের একটি দ্রুত হৃদযন্ত্রের কথা বলা হয় টাকাইকারিয়া। একটি উচ্চ নাড়ি বিভিন্ন কারণ দ্বারা উদ্দীপ্ত হয়। এই গুরুতর রোগ অন্তর্ভুক্ত:
২০২২ এসএসসি/দশম শ্রেনী জীববিজ্ঞান (৫ম সপ্তাহ) এসাইনমেন্ট উত্তর