‘আমার বাড়ি’ কবিতায় বন্ধুকে আপ্যায়নের জন্য কি কি আয়োজন ও খাবারের কথা উল্লেখ আছে? কবিতায় বর্ণিত আপ্যায়নের সাথে বর্তমান সময়ের অতিথি আপ্যায়নের সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য নিজের পারিবারিক অভিজ্ঞতার আলোকে লেখ

সপ্তম শ্রেণির নবম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের বাংলা বিষয়ের বিষয়বস্তু হল আমার বাড়ি কবিতায় বন্ধুকে আপ্যায়নের জন্য কি কি আয়োজন ও খাবারের কথা উল্লেখ আছে। কবিতায় বর্ণিত আপ্যায়নের সাথে বর্তমান সময়ের অতিথি আপ্যায়নের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিজের পারিবারিক অভিজ্ঞতার আলোকে লিখ। এখানে আমরা একটি কথা না বললেই নয় যে বর্তমান বিশ্বের সাথে কবিতায় আলোকে বর্ণিত গ্রীষ্মের বৈসাদৃশ্য বেশি:

তাহলে প্রথম প্রশ্ন থেকে শুরু করা যাক:

কবি জসীমউদ্দীনের আমার বাড়ি কবিতায় কবি তার বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আপ্যায়ন করার জন্য।

এটিই তাঁর এক শহরের বন্ধুকে মূলত গ্রামের বাড়িতে আপন করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তিনি মূলত তার বন্ধুকে পল্লী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার পাশাপাশি তাকে বিভিন্নভাবে আপ্যায়ন করবেন বলে বর্ণনা করেছেন।

গ্রামের মানুষ যাতে অতিথিকে আপ্যায়ন করে তা হল শালি ধানের চিড়া বিনি্ন ধানের খই বাড়ির গাছের কবরী কলা ও হাতে পাতা ঘন দই দিয়ে।

তিনি মূলত এই ধরনের খাবারের কথাগুলোই কবিতাতে বর্ণনা করেছেন।

কবি এইসব খাবার দিয়ে বন্ধুকে আপ্যায়নের সঙ্গে সঙ্গে তার আনন্দ বিনোদন ও বিশ্রামের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা করে রাখবেন যাতে সবকিছু দেখে বন্ধুর মহান মন মূগ্ধ ও পরিতৃপ্ত হয়।

অতিথি আপ্যায়নের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিজের পারিবারিক অভিজ্ঞতার আলোকে লিখ:

কবিতায় বর্ণিত আপ্যায়নের সাথে বর্তমান সময়ে অতিথি আপ্যায়নের কোন প্রকার সাদৃশ্য নেই বললেই চলে কারন কবিতায় কবি বলেছেন তার বন্ধুকে তিনি শালি ধানের চিড়া ও বিনি্ন ধানের খই এবং বাড়ির গাছের কবরী কলা ও হাতে পাতা ঘন ঘন দই দিয়ে আপ্যায়ন করবেন কিন্তু বর্তমান সমাজে এইধরনের রীতিগুলো একদম উঠে গেছে বললেই চলে।

বর্তমানে শহরের বন্ধুরা গ্রামে ঘুরতে আসলে এই ধরনের আয়োজন তেমন একটা চোখে পড়ে না তবে কিছু কিছু বাড়িতে এটি পরিলক্ষিত করা যায়।

তবে বর্তমানে অতিথিকে আপ্যায়নের জন্য সালের ধানের চিড়া না দিলেও মুড়ি অথবা দই দেয়া হয়।

আমরা এই অংশে কিছুটা সাদৃশ্য পরিলক্ষিত করি।

যদি আমাদের পরিবারের আলোকে বলতে চাই তাহলে বলতে পারি যে আমাদের পরিবারে এ ধরনের রীতি গুলো কেমন মেনে চলা হয় না।

কবিতার আলোকে বলতে গেলে কবিতায় কবি সফল হয়েছেন কিন্তু আমাদের সমাজে আমাদের পরিবারের কথা যদি বলতে চাই তাহলে বলতে পারি যে আমরা কবিতার কোভিদ মতো করে এখনো নেই বললেই চলে।

কবিতার সময়ের সমাজগুলোর ছিল সুশৃংখল ও আরো বড় মনের মানুষের দ্বারা তৈরি।

কিন্তু বর্তমানে আমরা বিজ্ঞানের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরা সকল পরিবেশের জিনিসগুলোকে হারিয়ে ফেলেছি বলে চলে।

প্রাকৃতিক জিনিসগুলোকে বিলীন করে দেওয়ার জন্য আমাদের সমাজ যথেষ্ট ভূমিকা পালন করতেছে।

আমার পরিবারের আলোকে এখানে বৈসাদৃশ্য গুলোই বেশি বলে আমি লক্ষ্য করি।

আশা করি তোমরা সকলে সপ্তম শ্রেণির নবম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর উত্তরটি ভালোভাবে করতে পেরেছ আমরা পরবর্তী থাকবে আস্তে আস্তে বাকি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।